Posts

Showing posts from April, 2021

শিক্ষাক্ষেত্রে অনন‍্য ঢাবি --- মুশফিক বরাত ( Mushfiq Borat )

          প্রাচ‍্যের অক্সফোর্ডখ‍্যাত ঢাবি এদেশের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়।বহু লেখক-সাহিত‍্যিক, কবি, জ্ঞানী-গুণী, বৈজ্ঞানিক, রাজনীতিবিদের জন্ম এ পীঠস্থানে।ঢাকা শহরের প‍্রাণকেন্দ্রে যার অবস্থান।উপাচার্য ও নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জ্ঞানচর্চা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতার আলোকে প্রারম্ভ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবের সাথে তার অগ্রযাত্রা অব‍্যাহত রেখেছে।কিছু অনিয়ম প্রত‍্যক্ষ হলেও বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে যার অবদান অপরিসীম।ডাকসু আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে তা সমাজের প্রগতিশীল অংশকে সঠিক পথে নিয়ে গিয়েছে।তার ক‍্যাম্পাস জুড়ে ধারণ করে আছে এমন কিছু ভাস্কর্য ও স্থাপনা যা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে লালন করছে।রাজনীতির জায়গা টিএসসি এমনকি পড়াশুনোরও জায়গা।বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যত নির্ধারিত হয় এখানে।বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ঢাবিকে এক কথায় বলা যায়- সামগ্রিকতা।সব ধর্ম ও সংস্কৃতির শিক্ষার্থীদের পড়াশুনোর অবাধ সুযোগ রয়েছে এখানে।এই সর্বোচ্চ বিদ‍্যাপীঠের ভবিষ‍্যত অত‍্যন্ত উজ্জ্বল বিধায় উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত নয়।যার দেশবিখ‍্যাত ভাস্কর্যগুলো হলো

বাংলাদেশ এবং দৃশ্যমান ত্রিভুজ শক্তি --- মুশফিক বরাত

         ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন চলেছে বহুদিন। তারপর ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়ে জন্ম হয় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশ। পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি অংশে বিভক্তির জায়গায় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা পূর্ব পাকিস্তানের উপর অন্যায়-অবিচার ও অত্যাচার চাপিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন ঘটে; জন্ম হয় নতুন একটি দেশের- নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে দেখা যাচ্ছে এতদিনে এদেশে ত্রিভুজ শক্তির নিষ্পেষণ দেখা দিয়েছে। স্পষ্ট এক ত্রিভুজ শক্তির শক্তিশালী অবস্থান দেখা যাচ্ছে। যার কবলে পিষ্ট হয়ে জনগণ মুক্তির পথ খুঁজছে। শক্তিগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি। স্বাধীনতার পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ মজা দেখিয়েছে- জনগণের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মেজর জিয়াউর রহমান তার পরই চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ভঙ্গুর পুঁজিবাদ তাকেও এগুতে দেয়নি। স্বাধীনতার পরবর্তী পুঁজিবাদী বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অসংখ্য কলকারখানা ও শ্রমিকের জন্ম দিয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প ও ঔষধ শিল্পে স্বাবলম্বী হয়েছে বাংলাদেশ। শেখ মুজিবর রহমানের হাত ধরে এদেশে প

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসে লিবিডোতত্ত্ব ও মার্কসবাদ --- লুৎফর রহমান

মানিক বন্দেপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিকদের একজন। তাঁর লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ৩৯ টি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাস্তববাদী লেখক। তাঁর লেখায় ফ্রয়েডের লিবিডো তত্ত্ব ও মার্কসবাদের প্রভাব লক্ষ্য করার মতো বিষয়। লিবিডো তত্ত্ব হচ্ছে যৌনতার ক্রমবিবর্তন সম্পর্কিত সিগমুন্ড ফ্রয়েডের এক তত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল কথাটি হচ্ছে সর্বরতিবাদ। এই তত্ত্বানুসারে শৈশবের সব ইচ্ছে ও আচরণই যৌনতা ভিত্তিক। ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রবৃত্তিমূলক মনস্তত্ত্ব। এ তত্ত্ব মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপের সাথে মানবমনের বিশ্লেষণ সম্পর্কিত। ফ্রয়েড ধারণা করতেন এ তত্ত্ব দিয়ে সমাজ ও মানুষের জীবনের সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে এ তত্ত্ব মানবমনের মুক্তিকামী ইচ্ছাকে সার্থকতায় পৌঁছে দিতে সক্ষম নয়। তা বিবেচনায় সে সময় বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের এ তত্ত্ব খুব পছন্দ হয় এবং দেশে দেশে প্রচারের ব্যবস্থা করে, এমন কি ভারতবর্ষেও। বাংলা সাহিত্যের নতুন ধারার ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাহিত্য সাধনার শুরুর সময়ে এই তত্ত্বের দ্বারা ধারুণভাবে প্রভাবিত হন। কিন্তু তিনি বেশি সময় এখানে আটকে থাকেননি। তিনি মার্কসীয় ত