Posts

Showing posts from October, 2023

নিদ্রিতাঃ জিরো জিরো সিক্স আবারো - মুশফিক বরাত

আমার জীবনের বিশেষ বারোটি দিন আছে যেগুলো কাটতেই চায় না বাকি দিনগুলো কেটে যায় হরদম বিনদাস। কেউ বলে দেবী, কেউ বলে মা শুভ বিজয়া দশমী তবুও আমি শ্বাশত বাংলার শৈল্পিক রূপ দেখেছি। রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা দেখে একজন বিজ্ঞানী পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন সুদূর বিদেশে। জিগ্গেস করাতে বলেছিলেন, YOU- শব্দটা আমার খুব পছন্দ তারপর একজন উপন‍্যাসিক একজন কবি......... যেখানে শুধু অশ্লীল নারীর দেহবল্লভ আর ঝলকানি। বুদ্ধিজীবীর কাছে প্রশ্ন ছুঁড়লে বলবে, আমার নাম পূর্বে নয় কেন? যেমন রাধা-কৃষ্ণ। নেটের সার্ভারে ঘন ঘন আগুন প্রমাণ ক'রে দেয় যে- এ জগতে সবই মিথ‍্যে, জালিয়াতি, বানোয়াট, ভুয়ো মিডিয়ার সৃষ্টি, ভগবানের শৈল্পিক প্রতারণা। দেখেছো কী! ঈগল, বাটারফ্লাই আর পিকক পোজ নয়তো ব‍্যায়ামাগারে কসরতরত নারী-পুরুষ। আমি নিদ্রিতাকে জানালাম, সেক‍্যুলারিজমের চর্চা হোক। নিদ্রিতা একগাল হেসে উত্তর দিল, আমি তো জানতাম পৃথিবীর সবাই সেক‍্যুলার!! তোমার শরীরের ভাঁজগুলো আমার ভীষণ পছন্দ স্পর্শ ক'রে দেখতে চ

ছেলেটির নাম আগুন - মুশফিক বরাত

ছেলেটির নাম আগুন। আগুন জ্বলছে জ্বলছে আগুন দিয়াশলাইয়ের কাঠি নিভে গেল রান্নাঘরে গ‍্যাসের চুলাটি ধপ ক'রে জ্বলে উঠলো। শিল্প-কারখানার অগ্নি বুঝি আর নেভে না কবি সুকান্ত একটি দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে পুরো পৃথিবী পুড়ে অঙ্গার ক'রে দিতে চেয়েছিলেন। আমি চাইলাম নেভাতে কিন্তু দাউ দাউ ক'রে জ্বলে উঠবো শ্লোগানে-শ্লোগানে, মিছিলে মিছিলে। মিছিলে টায়ার জ্বলছে, মসজিদ পুড়ছে মন্দির পুড়ছে, চার্চ ছাই হয়ে গেছে কিন্তু বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ এখনো নেভেনি। আগুন নিজেও জানে না কেন জ্বলছে? কেন নিভছে? আলো দিতে দিতে হারিয়ে যায় কত প্রদীপের প্রাণ।

রাশেদ-মানিকের কেচ্ছা - মুশফিক বরাত

আমার দু'জন বন্ধু আছে একজনকে আপনি ক'রে বলি আরেকজনকে বলি তুমি এপার বাংলা-ওপার বাংলার গল্প শুনি। আমার দুরবস্থা দেখে মানিক পরে নিতে চেয়েছিল একজোড়া গগলস। রাশেদ প্রথমটায় কিচ্ছু বলেনি পরে জানালো, ' একদিন তোমাকে পুরো বিশ্ব দেখাবো।' রাশেদের সাথে আমার ব‍্যবধান আর মানিকের সাথে আমার সখ্যতা কমেনি কমেনি কথার ফুলঝুড়ি, তার গতিময়তা। তারা দু'জন থামলেও আমি এখনো থামিনি। তৃতীয় পক্ষ দৈববাণীর মতো জানান দিল, ' জানি, একদিন তুমিই পারবে?' জমা হোক বৃষ্টি জমা হোক মেঘমালা, কবিতার পংক্তিমালা জমা হোক তাও। লেখা থাক আমার প‍্যাপিরাসের পাতায়।

কুঁড়েঘর - মুশফিক বরাত

আস্ত একটা কুঁড়েঘর ধরে ন‍্যুজ্ব হলাম এ কোন বৃত্তাবদ্ধ ভাবনায় আমি পড়ে থাকি। সংবেদনশীলতা আজ হারিয়ে গেছে বুঝি! অনিয়মের ভারে এ কোন অন্ধকারের ভবিষ্যৎ কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে প্রত‍্যেককে গাছপালা, জল, নদী, মাটি, বায়ুকে এমনকি মানুষকেও। স্বদেশকে, বিশ্বকে ভেঙে-জুড়ে পুড়ে খাক ক'রে দেবে। আলবার্ট আইনস্টাইন এখনো তাড়িত করে আমাকে একে একে চুরি হয়ে যায় কবিতাগুলো, উপন‍্যাসসমগ্র প্রবন্ধের বই আর দীর্ঘায়িত সব ছোটগল্প। শূন‍্য কুঁড়েঘরে কেবলি একলা পড়ে রইলাম আমি। বিকেলটায় রোজ বেরোই সেলুনে যাই, চুল কাটিয়ে আসি। সময় ভ্রমণে বেরুতে পারিনি এখনো যেমন বরাবর কিংবা বারবার চলে যায় বড় বড় কবি, সাহিত‍্যিক, গল্পকার আর কলামিস্ট। সময় ভ্রমণে এখনো বেরুতে পারিনি আমি। সময়ের প্রসারণ আর আপেক্ষিকতায় ডুবে আছি শাহরুখ ও দীপিকায়। একজন তালপাতার সেপাই আস্ত কুঁড়েঘরে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে আমাকে প্রতিদিন, প্রতিরাত। এখনো একজন রূপালী জগতের অভিনেত্রীকে নিয়ে যেতে পারিনি সময় অভিযানে। হারিয়ে যাচ্ছে বক্তৃতাগুলো আর কাব‍্যগুলো প্রতিনিয়

ভালোবাসার হার - মুশফিক বরাত

বলছো তো, মমতাজের কাছে শাহজাহান হেরে যায় নি? শিরির কাছে ফরহাদ? কিংবা কেটের কাছে বরাত। সেই মুর্শিদকুলি খাঁর আমল থেকে তোমার জন‍্য বরাদ্দ রেখেছি অষ্টধাতু দিয়ে তৈরী কামান। জানো নি! ফুল ছুঁতে গিয়ে কাঁটার আঘাত!! তোমার-আমার ভালোবাসার কাছে জনার্দনও হার মানবে।

নির্বাচন ও নারী - কমরেড মুশফিক বরাত

কেউ বলে নারী কেউ বলে ললনা হতে পারো তুমিও পত্নী তারা রমনী, অর্ধাঙ্গিনী, কামিনী। পথটা হবে শ্রমিকের পথটা হবে কৃষকের সমাজতন্ত্রে একদিন আমরাই পৌঁছুবো। হারিয়ে যাচ্ছে সৌহার্দ্য-সম্পর্ক-সম্প্রীতির বন্ধন। পৃথিবীটা এমন- এখানে ভগবানের নাম নিলেও ভালো ব‍্যবহার দেখাতে হয়। একাকী, নিঃসঙ্গ অসহায়-নিরুপায় পথিকবর আমরা সকলেই।