Posts

Showing posts from May, 2022

নিদ্রিতাকে ---- মুশফিক বরাত

শুক্লপক্ষের শেষ তিথিতে তোমার-আমার প্রেমের সূচনা যেমন তুমি হারিয়ে যাবে চিরতরে                                কোনো এক কৃষ্ণপক্ষে। ব্রক্ষ্মদেব করেছিল আশির্বাদ যেমন- ইন্দ্রদেব দিয়েছিল আসন্ন স্বর্গের পূর্বাভাস স্বর্গের অপ্সরা সব নেচেছিল প্রথম জন্মে আমাদের তিথিতে আমার পূর্বজন্মে তুমি ছিলে পদ্মফুল আর আমি ছিলাম কৃষ্ণচূড়া। তোমার জন‍্যে আমি হতে রাজি কিউপিড ঘোষণা করতে রাজি এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের; আমি রাজি মার্সের বরাত নিয়ে ক্ষত্রিয় বেশে কোনো এক পলাশীর যুদ্ধ ডেকে আনতে। হয়তো আমার সুন্দর ডানা দুটি ভেঙে দিয়ে যাবে শত্রুপক্ষ। তছনছ ক'রে দিয়ে যাবে সোনার কেল্লা। তবুও তীর-ধনুক হাতে প্রতিরোধ গড়ব আমি। আত্মার শপথ- কোনোভাবেই হারাতে দেব না সাইকিকে কোনোভাবেই হারাতে দেব না আমার সাইকিকে। মার্সের বর নিয়ে শপথ করেছিলাম যখন                             আবারো দ্বিতীয় যুদ্ধের; স্ট‍্যালিনের শক্ত দূর্গের চূড়া ভেদ করে                              হেরে যাবো না দ্বিতীয়বার যতোই দিক মানবপ্রজাতি লৌহমানবের খেতাব আমি তখনো তোমারই। কী কারুকার্যখচিত মসলিনে আবেসিত ভালোবেসেছিলাম তোমাকে!! হঠাৎ ভেসে আসে দূরে কোথাও দৈববাণী

নিদ্রিতার জন‍্য ভালোবাসা --- মুশফিক বরাত

১. নিদ্রিতা পথ চলছে একাকী জনহীন রাস্তায় হাঁটছে আপন মনে, কোমল শরীর দুলিয়ে এগিয়ে কিছুটা টিউলিপের গন্ধ প্রত‍্যাশায় শিরশীর্ষ উঁচু- পথ এলোমেলো এদিক-সেদিক ছড়িয়ে রয়েছে বালুকণা। একটা ফুলের বাগান, নির্জন নিঃসঙ্গতায় পূর্ণ গন্ধ চেয়ে নিয়েছে সহসাই এক সাহসী যুবক। চতুর কুকুরের দল পিছু নিয়েছে যেন পথ আগলে ধরেছে বখাটেরা। উষ্ণ পুরুষটির দীর্ঘ গ্রীবায় হাত রাখোনি যদিও বুকের পাঁজরে ভুলোনি সাহসী যুবকটির বেদনাও বলোনি- হেঁটেছি, নিঃসঙ্গ হেঁটেছি সঙ্গীহীন এগিয়ে এসেছে শহুরে লাল শিয়ালের জুটি এগিয়ে এসেছে জনৈক প্রৌঢ় বৃদ্ধ। সাহসী মন নিয়ে কেঁপে উঠেছ কখনো নিভৃত লোকালয়ে উদয় খুঁজেছ কখনো। উদিত হয়েছে সূর্য উদিত হয়েছে চন্দ্র জানান দিয়ে গেছে কেঁপে কেঁপে ধ্রুবতারা। গন্ধ শুঁকেছো রজনীগন্ধার পরশ নিয়েছো রক্তজবার ভেসেছ সুখস্বপ্নে সুখরামের- এসেছে আরেকটি সুবর্ণ দিন। নিঃসঙ্গতায় কাটছে কি আজকাল? বেদনায় নীল হয়েছ কি দিনময়? জেনেছ কি! আমিও ঘুমাইনা আজকাল দুঃস্বপ্নের ঘোরে চেয়ে থাকিনা দীর্ঘ প্রতীক্ষায়- ভাবি নষ্ট আবেগে নিদ্রিতার কোমলতায়। এমনি কোনো এক সকালে ডেকে উঠব আচমকা- আমি তোমার সঙ্গী হব। ২. যখন দেখি মোনালিসা পেইন্টিংয়ের চেয়ে একজন

অজানা ক্ষোভ --- মুশফিক বরাত

রূপোলী আলোকে সোনালী ঝলকে পৃথিবী পানে ধেয়ে আসবে ডাবল হেলিক্স নেবুলা; সংযত হবে না কেটু পাহাড়ের দম্ভ আর ভেঙে যাবে না চাটুকার নেতার লালায়িত স্বর্গ। কোনো এক রূপোলী বিকেলে গান ছেড়ে উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চায় মশগুল হলেম সকলে- আমি বলেছিলাম- আমার দৌড় ঐ নচিকেতা পর্যন্তই। নিদ্রিতা বলেছিল- আমি শুধু শ্রেয়া ঘোষাল। সবাই হেসেছিল; সজোরে সবাই হেসেছিল। সভায় কথা উঠেছিল, একজন সাধুপুরুষ ক্ষমতায় বসলে তারও সমালোচনা ক'রে ছেড়ে দেবে কি জনতা? আমি মাওলানা ভাসানীর মতো বললাম, হয়তো তাই। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধবে ব'লে। নিদ্রিতা সাড়ে ছত্রিশের বুড়ো দেখেছো যে তার হলুদ কোমর দুলিয়ে চলে আর বউ খোঁজে। এমন মুহুর্তে আমি ভাবছিলাম চব্বিশের কথা তোমার বয়স হয়েছিল তাও আমার জানা। লোকে বলে, আঠারো বছর বয়স স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি আর বয়ে নিয়ে আসে সফলতা।যেমন বিশ ডেকে আনে বিফলতা। বাড়ে তেলের দাম, বাড়ে ডিজেলের মূল‍্য জনতার সহিত ক্ষমতাসীন নেতার দূরত্বের খবর একটা পান্ডাও রাখেনা। যেমন মোদীর মার্বেল পাথরের মূর্তি জনতা দড়ি লাগিয়ে টেনে নামাতে চায়। ভণ্ড-চরিত্রহীন নেতার দম্ভ দিকে দিকে ফাল্গুনের আহ্