অজানা ক্ষোভ --- মুশফিক বরাত

রূপোলী আলোকে সোনালী ঝলকে
পৃথিবী পানে ধেয়ে আসবে ডাবল হেলিক্স নেবুলা;
সংযত হবে না কেটু পাহাড়ের দম্ভ
আর ভেঙে যাবে না চাটুকার নেতার লালায়িত স্বর্গ।

কোনো এক রূপোলী বিকেলে গান ছেড়ে
উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চায় মশগুল হলেম সকলে-
আমি বলেছিলাম- আমার দৌড় ঐ নচিকেতা পর্যন্তই।
নিদ্রিতা বলেছিল- আমি শুধু শ্রেয়া ঘোষাল।
সবাই হেসেছিল; সজোরে সবাই হেসেছিল।
সভায় কথা উঠেছিল, একজন সাধুপুরুষ ক্ষমতায় বসলে
তারও সমালোচনা ক'রে ছেড়ে দেবে কি জনতা?
আমি মাওলানা ভাসানীর মতো বললাম, হয়তো তাই।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধবে ব'লে।

নিদ্রিতা সাড়ে ছত্রিশের বুড়ো দেখেছো যে
তার হলুদ কোমর দুলিয়ে চলে আর বউ খোঁজে।
এমন মুহুর্তে আমি ভাবছিলাম চব্বিশের কথা
তোমার বয়স হয়েছিল তাও আমার জানা।
লোকে বলে, আঠারো বছর বয়স স্পর্ধায় নেয়
মাথা তোলবার ঝুঁকি আর বয়ে নিয়ে
আসে সফলতা।যেমন বিশ ডেকে আনে বিফলতা।

বাড়ে তেলের দাম, বাড়ে ডিজেলের মূল‍্য
জনতার সহিত ক্ষমতাসীন নেতার দূরত্বের খবর
একটা পান্ডাও রাখেনা।
যেমন মোদীর মার্বেল পাথরের মূর্তি
জনতা দড়ি লাগিয়ে টেনে নামাতে চায়।
ভণ্ড-চরিত্রহীন নেতার দম্ভ দিকে দিকে
ফাল্গুনের আহ্বান যখন অনেক অনেক দূরে-
শাদা ঘোড়ায় চেপে নন্দক তলোয়ার হাতে
দেবদত্ত ছুটিয়ে আসছেন তিনি- ক‍্যাসিনো রাজ
দিকে দিকে সমাজতন্ত্রের আহ্বানে।


--- ১৩/০৫/২০২২

Comments

Popular posts from this blog

নিদ্রিতার প্রতি - মুশফিক বরাত

নিদ্রিতাঃ জিরো জিরো সিক্স আবারো - মুশফিক বরাত

ছেলেটির নাম আগুন - মুশফিক বরাত