Posts

Showing posts from February, 2021

অণুগল্প

  কৌশলে কুপোকাত          ---  প্রকাশ চন্দ্র রায় মিতা'র কথা শুনে হাসতে হাসতে ঢলে পড়লো রীতা। গম্ভীর মুখে উঠে দাঁড়ালো এবার মিতা, রাগ করে বলল, -:আর থাকবো না তোর কাছে চললাম।  চট করে উঠে দাঁড়িয়ে  মিতার হাত ধরে টেনে বসাতে বসাতে সান্ত্বনার সুরে বলল রীতা,  -:অত চটছিস ক্যান?  বললাম তো,সব সমস্যার  সমাধান করে দেব আজকেই।  কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে আবার বসে পড়লো মিতা।  মৃদু হেসে রীতা বলল,  -:আবার বলতো,মূল সমস্যাটা কি তোর?  চটে উঠে মিতা বলল,  -:বললাম তো! সুজন একদম পাত্তা দিচ্ছে না আমাকে! -; তুই ওকে ভালবাসিস?  -; সেটা তো তুইও জানিস!ওকে ছাড়া বাঁচব না আমি,প্রায় কান্নার স্বরে বলল মিতা। -:সুজন কি তোকে ভালবাসে? কৌতুহলি রীতার প্রশ্ন।  -; ভালবাসে কিন্তু স্বীকার করতে চায় না,আর একদম কাছে ঘেঁষে না।  -: ও,! তবে শোন,পুরনো পণ্ডিতগণ কি বলেছেন?  -; কী !  "ধনুকধারী তীর ছুঁড়লে,  কেউ মরে কেউ মরে না"  বুদ্ধিমানে ছাড়লে বুদ্ধি,  তার সামনে কেউ বাঁচে না"!  -:রাখ তোর হেঁয়ালি! এবার সত্যি সত্যিই হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠল মিতা। কেঁদে কেঁদে যা বলল,তার মর্মার্থ দাঁড়ায়, একই পাড়ার সুদর্শন ছেলে সুজন, এম,এ পাশ করে আপাতত দুটো

লবনাক্ত নীল --- প্রকাশ চন্দ্র রায়

তোমার জলেই আপাদমস্তক ডুবেছিলাম,, ডুবতে ডুবতে অবশেষে, মোহন সাঁতার শিখেছিলাম । . চিৎ সাঁতারে বুক সাঁতারে, জলক্রীড়া'র ষোলকলায়, ক্রমেই যখন দক্ষ হলাম-  . তখন তুমি আমাকে ফেলে, মিশে গেলে সাগর জলে । . অবাক হয়ে চেয়ে দেখি, বদলে গেছে তোমার রঙ বদল গেছে তোমার ঢঙ; . এখন তুমি অপেয় অপাঙক্তেয়, লবনাক্ত নীল- ঝিলমিল মরীচিকার মত, নাচো অন্য বুকে ।  . আমাকে ছেড়ে আছো কি বিশেষ সুখে ? ----  প্রকাশ চন্দ্র রায় কিশোরীগঞ্জ,,নীলফামারী।

চ্যাঙ নয় ব্যাঙ নয় --- প্রীতিপ্রভা রায়

অনিমা রায়,ছয় বছর।মামা'র বাড়ীতে থেকে পাশের কিণ্ডার গার্ডেন স্কুলে পড়ে। বাড়ীতে এসে স্কুলের ব্যাগটা রেখেই বাড়ির পিছনে ছুটল সে, তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ল কাদাজলের মধ্যে,যেখানে পাশের বাড়ির ছোট-বড় সবাই ব্যস্ত হয়ে মাছ ধরছে।অভিমানের সুরে চেঁচিয়ে উঠলো অনি, :-আমাকে ছেড়ে মাছ ধরতে নেমেছ সবাই! ছোটমামী উত্তর দিল, :-রাগ করিস না মা,তুই তো স্কুলে ছিলি!মাছ ধরার কোন প্লান ছিল না।হঠাৎ করে রুনু বলল,কাকীমা মাছ ধরবো এসো। সবাই নেমে পড়েছে দেখে আমিও এলাম। তাতেও মান ভাঙলো না অনিমার,প্রত্যত্তুরে বলল, :-তোমরা তো এতক্ষনে অনেক মাছ ধরেছ বোধহয়!শেষে এসে আমি আর কয়টা ধরতে পারবো বলতো?আমিতো মাছধরা শিখিইনি এখনো,আমাকে শিখিয়ে দেবে মামী? :-আচ্ছা আয়,দ্যাখ,এভাবে কাদার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে হাতরাতে হয়,আর ওই যে দ্যাখ,মাথা ভাসিয়ে রেখেছে একটা বাচ্চামাছ!আমি ধরছি তুই দ্যাখ,কীভাবে ধরি। মাছটা ধরে অনিকে দেখাল মামী,আর বলল, :-খুব শক্ত করে ধরবি কিন্তু,চ্যাঙ মাছগুলো খুব পিচ্ছিল প্রকৃতির হয়। :-আচ্ছা মামী,তাই হবে। মহানন্দে মাছ ধরতে শুরু করলো অনিমা। একবার ঝুমুর কাছে,একবার রুনুর কাছে গিয়ে ধরতে লাগল মাছ। তার লাফালাফি দেখে সবাই বলতে লাগল, :-এত লাফালাফি করি

জোটের আন্দোলন কর্মসূচি --- মুশফিক বরাত

সিপিবি, বাসদ ও গণসংহতি আন্দোলনসহ আটটি বাম দল নিয়ে গঠিত হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। ৬ নভেম্বর ২০১৮-তে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসে জোটের নেতারা।সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের জন‍্য প্রস্তুত বাম গণতান্ত্রিক জোট। সংলাপে তারা বলেছিল- সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, মিথ‍্যা-গায়েবি মামলা বন্ধ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। আরো দাবির মধ‍্যে ছিল ইভিএম ব‍্যবহার না করা ও বিরোধী জোটের উপর দমন-পীড়ন বন্ধ করা ইত‍্যাদি। নির্বাচন পরবর্তীতে ঘটেছেও তাই।কালো টাকার খেলা হয়েছে, ভোট ডাকাতি-ভোট চুরি, খুন-জখম-মারামারি ইত‍্যাদি সব ধরণের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন কমরেড খালেকুজ্জামান, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও জোনায়েদ সাকি।একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পর এসে জোট গত নির্বাচনকে ' কালো দিবস ' হিশেবে ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ‍্যে ছয়টি বন্ধ ঘোষণা করে সরকার বাকিগুলোও বন্ধের আয়োজন করছে। এ বছরের ১০ ও ১২ জানুয়ারি

মুশফিক বরাত সম্বন্ধীয়

  আমার একটি লেখা Left Democratic Alliance( বাম গণতান্ত্রিক জোট ) ছাপিয়েছে। তা নিম্নরূপ : বাংলাদেশের বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রথম দিককার সমন্বয়ক ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।বর্তমানে দায়িত্বে আছেন সিপিবির আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ‍্যমে ৮টি বাম দলকে নিয়ে গঠিত হয় বাম গণতান্ত্রিক জোট।একসময় কমরেড শাহ আলম ও বজলুর রশীদ ফিরোজও এই দায়িত্বে ছিলেন।বাম জোটের এখন প্রয়োজন রাজপথ থেকে বড় ঐক্য।আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিদলীয় রাজনীতির বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ‍্যে তারা কাজ করছে।কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষ‍্যে তারা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে নিরঙ্কুশ বিজয়ের দিন ঘোষণা করার মাধ‍্যমে ' গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ' উদযাপন করেছে।অন‍্যদিকে বাম জোট এটাকে 'কালো দিবস' হিশেবে ঘোষণা দিয়েছে।বাম গণতান্ত্রিক জোট দিনটিকে ঘিরে সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল করেছিল।এজন‍্যে জোটের নেতাদের দেশবাসীর প্রতি কালো পতাকা হাতে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান ছিল।এ বছরের

ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এক কঠিন সংগ্রাম ----- বদরুদ্দীন উমর

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলাদেশ এখন কোন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে তার হাজার উদাহরণের মধ্যে ছাত্রদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন অন্যতম। এ আন্দোলনের সর্বশেষ পরিস্থিতির ওপর দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকেই বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার চত্বরে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার রিপোর্টের একটি অংশ এখানে প্রয়োজনবোধে উদ্ধৃত করা হল। ‘ফের ছাত্রলীগের হামলা’ শীর্ষক প্রথম পাতায় প্রকাশিত যুগান্তরের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘কোটা আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক। নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কয়েকজন ছাত্রী। আর এসব ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। রোববার বেলা পৌনে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের হামলার কথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জ

সূর্যের কাছে একশতায়ূ ... ------ অভিলাষ মাহমুদ

আমি কি বৃদ্ধ হয়ে গেছি? পেকে গেছে গোঁফ দাড়ি, পেকে চুল। বৃদ্ধ হয়ে গেলে প্রাণ পাখি পলায় পলায় ... চাঁদ জানে, জোছনা জানে আমার আয়ূ কত। নদী জানে , সমুদ্র জানে আমার আয়ূ কত। ঝর্ণা জানে, পাহাড় জানে আমার আয়ূ কত। সাত ভাই চম্পা জানে আমার আয়ূ কত। কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক - পৃথিবীর সব জড়, সব জীব জানে আমার আয়ূর পরিমান কত ... আমি এখনো বৃদ্ধ হইনি। এত তাড়াতাড়ি হব'ও না। শুক্র ও শনি গ্রহকে দান করেছি আমার অর্ধায়ূ। আমার আয়ূ ধার করে একশ বছর বাঁচতে চায়- বাঘের মাসি বিড়াল। কেউ মানুক আর না মানুক - সূর্যের কাছে রেখেছি জমা আমার একশতায়ূ একশ বছর আগে ।

ঋত্বিক সাম্যবাদী বিপ্লবী রণেশ দাশগুপ্ত ---- দিলওয়ার হোসেন

মানবিকতায় উজ্জ্বল এক ঋষী ও সাম্যবাদী আদর্শে ভাস্মর মানুষ রণেশ দাশগুপ্ত।আমাদের কৈশোর থেকে তিনি আমাদের চৈতন্যে উজ্জ্বল ত্যাগী এক মহান পুরুষ।সারা জীবন মানবমুক্তির তপষ্যায় নিমগ্ন ছিলেন।তাই অনেকেই তাঁকে বলেন বিপ্লবী সন্ত। ৮৫ বছরের জীবনের ৭৫ বছরই তিনি সাম্য -স্বাধীনতার জন্য অবিরল সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সত্য,ন্যায় আর মানবমুক্তি ছিলো তাঁর সাধনা। তিনি ছিলেন সদা জাগ্রত এক অসাধারণ মানুষ।ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান করে স্বাধীনতা লড়াই দিয়ে যে বিপ্লবী জীবনের শুরু তা অক্ষুণ্ণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়েও।বাঙালির ছয় দশকের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। মানবমুক্তির অন্বেষায় যেখানে যা কিছু ভালো তা একাগ্র চিত্তে আহরণ করেছেন। মানব মুক্তির জন্য রাজনীতি আর সাহিত্য সাধনাকে বেছে নিয়েছিলেন পথ হিসেবে। সাহিত্য সাধনায় পরম আন্তরিকতায়, অকল্পনীয় নিষ্ঠা আর পরিশ্রমে পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিশীল ভাণ্ডার থেকে আহরণ করেছেন শিল্প-সাহিত্যের নির্যাস। বাঙালির চৈতন্য জাগ্রত করার জন্য রেখে গেছেন অমূল্য অবদান। তিনি রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন কিন্ত

ভাষার মাসে ভাষা মতিনকে স্মরণ ----- দিলওয়ার হোসেন

  বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিস্মরণীয়। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি যে উত্তাল গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল সেই আন্দোলনই আমাদের জাতির ভবিষ্যতের পথ দেখিয়েছিল। সেই আন্দোলনে বরকত, রফিক, জব্বারসহ অন্য যাঁরা অকাতরে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন সেই শহিদরাই পথ তৈরি করেছিলেন আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার। অনুপ্রেরণা তৈরি করেছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের মূল ভিত্তি গড়ে তুলেছে ভাষা আন্দোলন। ১৯৪৮ সাল থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হলেও তার সফল পরিনতি লাভ করে '৫২ র ২১ ফেব্রুয়ারিতে। সেই সাফল্য থেকেই বাঙালি পেয়েছে মুক্তিসংগ্রামের উজ্জীবনী শক্তি ও সাহস। এই ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ এলেই যে মুখটি মানুষটির মুখ বাঙালির সামনে উদ্ভাসিত হয় ওঠে তিনি আবদুল মতিন। ভাষা আন্দোলনে তাঁর কর্ম, শ্রম, মেধা উদ্ভাবনী শক্তি প্রভৃতি অসাধারণ অবদানের জন্য ভাষা মতিন অভিধায় অভিষিক্ত হন। ভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় ও অনস্বীকার্য। আবদুল মতিন ভাষা আন্দোলনেই থেমে থাকেননি।তিনি জাতীয় মুক্তিসংগ্রামকে এগিয়ে নিতে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেক

১৪ ফেব্রুয়ারি গীতিকার আশিক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কবি অভিলাষ মাহমুদ একটি কবিতা লিখেছেন।আশিক বন্ধু এবি মিউজিক স্টেশনের একজন গীতিকার।

ফাগুনী চাঁদ হাসছে --- অভিলাষ মাহমুদ ফাগুনী চাঁদ হাসছে দেখি আজ এ রাতে, ইচ্ছাগুলো থাকতে চায় না মনো ঢেরাতে। জুনি পোকা ছড়ায় আলো এ কথা জেনে, লক্ষ তারার ফুলের মালা পরাবো যারে এনে। হাসি- খুশি, ছড়া- গান আর কবিতা দিয়ে, সারা রাত ভেবে কাটে শুধুই তারে নিয়ে। নগর বাউলের ভালোবাসা রেখেছে হৃদয়ে যার, আমিও কবিতা ছড়া গানে লিখে যাই কথা তার। শিউলী ফুলের মালা গেঁথে চাই তারে পরাতে, কর্মেই সে থাকবে বেঁচে জানি সুন্দর এই ধরাতে।

ফেসবুকের একটি ভাইরাল পোস্ট --- মুশফিক বরাত

Image
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতিতে গত ১২.০২.২০২১ তারিখে একটা পোস্ট করেছিলাম।পোস্টটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 'এক হাতে শৈশব অন‍্য হাতে জীবিকা.... আহারে!!! জীবন....' নামক পোস্টটিতে প্রথম ৩০০ মিনিটে ২১০টি লাইক পড়ে।ছবিতে দেখা যায়- একটি ছেলে দাড়িপাল্লাসহ মাছ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।তার অন‍্য হাতে রয়েছে খেলনা গাড়ি। আর সারাদিন শেষে লাইক গিয়ে দাঁড়ায় চার শ'র কাছাকাছি।অনেকেই মন্তব‍্য করেছেন।একজন বাংলাদেশের এই পোস্টটি দেখে ভারতবর্ষের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।লিখেছেন, ' ভারতবর্ষ এগিয়ে চলেছে।মোদির হাত ধরেই। মোদির দৃষ্টি শুধু আদানি আম্বানির দিকে দীন দুঃখীদের জন্য নয়।' বিপ্লব সেন নামে একজন ছোটখাট একটা কবিতাও লিখে ফেলেছেন।যেটি হলো --- শৈশব হারিয়ে গেছে দরিদ্রের ওই দীনতায় স্বাধীনতা গণতন্ত্র এসব কথা তোলা থাক মনের কল্পনায় ব্রিটিশ চলে যাবার পঁচাত্তর বছর পরে আজও শৈশব চুরি যায় দারিদ্রের পরিসরে গণতন্ত্র ভোট বাক্স সব কথার কথা নেতা মন্ত্রী লুঠ করে যায় দারিদ্রের দীনতা এই স্বাধীনতার কি আছে যে মানে শৈশব বিদীর্ণ যে হায় ভাত কাপড়ের সন্ধানে বিদ্যালয় বই খাতা সব স্বপ্ন মনে হয় বোতাম টিপে পাঁচ বছর

জয়দীপ দে-এর সব বইয়ের তথ্য একসঙ্গে

  জয়দীপ দে-এর সব বইয়ের তথ্য একসঙ্গে =================== ১ বইয়ের নাম: নিষুপ্ত ধরন: উপন্যাস লেখক: জয়দীপ দে (Joydip Dey) প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ আইএসবিএন নম্বর: 9789845261876 মূদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা বইয়ের প্রচ্ছদ: সংযুক্ত আছে পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮ প্রথম মূদ্রণ: বইমেলা ২০১৮ কাভার: হার্ড কাভার বইয়ের সাইজ: ১/৮ ফ্ল্যাপের লেখা: গ্রাম থেকে শহরে পড়তে আসা এক যুবকের টিকে থাকার যুদ্ধ; তারই সমান্তরালে একটা রাষ্ট্রও পার করছে এক কঠিন সময়। রাজনীতি, মিডিয়া, ফটকা পুঁজির কারবার, ক্রসফায়ার- এসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল রাষ্ট্রটি। যুবক অবচেতনে জড়িয়ে পড়ছিল সেসব ঘটনায়। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে একসময় যুবক আবিস্কার করে তার ধর্মীয় পরিচয়। বন্ধুদের আড্ডায় সে বলেই ফেলে একদিন, ‘ ... দেখ্ স্নিগ্ধা, এসব নিয়ে আলাপ করতে আমার খুব লজ্জ্বা লাগে। আর কোথাও খোলামেলা আলাপও হয় না। এসব যেন মাইনরিটি ফ্যামিলিগুলোর একান্ত কনফিডেনশিয়াল বিষয়। খাবারের টেবিলে ফিসফিসিয়ে বলতে হবে, হোটেলে হলে এক কোণায়- নীচুগলায়, অন্যরা যেন শুনতে না পারে ...’ সঙ্গোপনে থাকা এ কথাগুলো যুবকের জীবন চলার বাঁকে মাঝে মাঝে চোরাগোপ্তার মতো হানা দেয়। যতই চোরাকাটাকে অগ্রাহ্য