প্রাগৈতিহাসিক --- মুশফিক বরাত
আমার একজন নিষ্প্রভ জলপাই রঙের বন্ধু আছে যে তার লজ্জাবতীর ন্যায় চক্ষুলজ্জা নিয়ে বরাবর বিপদে পড়ে যায়। অর্থলজ্জায় লজ্জিত হয় সময়ে-অসময়ে আমি বিরক্ত হই বরাবর বিরক্ত হই কিন্তু কিচ্ছু বলিনা বলিনা জ্বালাতন ক'রো না। তুমি বলবে মাটি, পানি, বায়ু ও আগুনের ভুল বিশ্লেষণ? আমি বলবো প্রথম আগুন আবিষ্কারে ভালোবেসে ফেলেছিলাম তোমাকে! আদিম মানুষের আদিমতা ভেদ ক'রে উঠে যেতে থাকি ক্রমশ তোমার পায়ের আঙুল-নখ-ঊরু; নিতম্ব-কোমরের লাজুকতায় ছুঁয়ে দিয়েছি নাভিমূল স্পর্শে শিহরিত হয়েছিলাম। হাতের কনুই চুম্বনে হারাই বক্ষে কাঁধে ও বাহুতে এঁকে দিয়েছি সম্পূর্ণ জীবনপণ হাঁপাতে হাঁপাতে কান ছুঁয়ে ফিরে গিয়েছি নাভিমূলে। কিন্তু ভুলিনি সোনালী চুলের বাতাস-আকাশ লতা-গুল্মের মতো চেয়েছি বারংবার। সেই নিদ্রিতা- আধুনিক সভ্যতায় কতোটা অচেনা? প্রাচীন প্রস্তরযুগের চাওয়া-পাওয়াগুলো হারায়নি নব্যপ্রস্তরযুগে হারিয়েছে কেবল আধুনিক সমাজে এসে। ব্রোঞ্জযুগে চিহ্নলিপিতে ভেসেছি ভালোবাসায় অবশেষে লৌহযুগ পেরিয়েও আদিমতায় পুরাতাত্ত্বিক। মনে পড়ে আর্সেনিক দূষণেও আমি তোমার। কথা