প্রাগৈতিহাসিক --- মুশফিক বরাত

আমার একজন নিষ্প্রভ জলপাই রঙের বন্ধু আছে
যে তার লজ্জাবতীর ন‍্যায় চক্ষুলজ্জা নিয়ে বরাবর
                                    বিপদে পড়ে যায়।
অর্থলজ্জায় লজ্জিত হয় সময়ে-অসময়ে
আমি বিরক্ত হই
বরাবর বিরক্ত হই
কিন্তু কিচ্ছু বলিনা
বলিনা জ্বালাতন ক'রো না।

তুমি বলবে মাটি, পানি, বায়ু ও আগুনের
                               ভুল বিশ্লেষণ?
আমি বলবো প্রথম আগুন আবিষ্কারে
ভালোবেসে ফেলেছিলাম তোমাকে!
আদিম মানুষের আদিমতা ভেদ ক'রে
উঠে যেতে থাকি ক্রমশ তোমার
               পায়ের আঙুল-নখ-ঊরু;
নিতম্ব-কোমরের লাজুকতায় ছুঁয়ে দিয়েছি
নাভিমূল স্পর্শে শিহরিত হয়েছিলাম।
হাতের কনুই চুম্বনে হারাই বক্ষে
কাঁধে ও বাহুতে এঁকে দিয়েছি সম্পূর্ণ জীবনপণ
হাঁপাতে হাঁপাতে কান ছুঁয়ে ফিরে
গিয়েছি নাভিমূলে।
কিন্তু ভুলিনি সোনালী চুলের বাতাস-আকাশ
লতা-গুল্মের মতো চেয়েছি বারংবার।
সেই নিদ্রিতা-
আধুনিক সভ‍্যতায় কতোটা অচেনা?

প্রাচীন প্রস্তরযুগের চাওয়া-পাওয়াগুলো
হারায়নি নব‍্যপ্রস্তরযুগে
হারিয়েছে কেবল আধুনিক সমাজে এসে।
ব্রোঞ্জযুগে চিহ্নলিপিতে ভেসেছি ভালোবাসায়
অবশেষে লৌহযুগ পেরিয়েও আদিমতায় পুরাতাত্ত্বিক।

মনে পড়ে
আর্সেনিক দূষণেও আমি তোমার।
কথা দিয়েছিলাম
ভুলে যাবো না আধুনিক সভ‍্যতার বিষবাষ্পেও
তবুও
হলস্ট‍্যাট বা আর্নফিল্ড সংস্কৃতি থামাতে
                          পারেনি আমাদের।

লৌহযুগে ইতিহাস লিখনের শেষে হারিয়েছি নিজেকে
খুঁজে পেয়েছি তারপরও পুঁজিবাদের কালোয়।
প্রেমের দৃঢ় শপথে
প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড ভেঙেছি শতবার।
মনে আছে হয়তো
লৌহযুগে ঠাঁই হয়েছিল ভারতে
তারপর কত শত শতাব্দী পেরিয়ে
শেষটায় ভারত-বাংলায় দু'জনে।
উপসংহারে জেনে যাই
কোনোভাবেই শুকোয় না নারীক্ষত
কোনোভাবেই শুকোয় না নারীক্ষত!!

Comments

Popular posts from this blog

নিদ্রিতার প্রতি - মুশফিক বরাত

নিদ্রিতাঃ জিরো জিরো সিক্স আবারো - মুশফিক বরাত

ছেলেটির নাম আগুন - মুশফিক বরাত