স্পর্শ - মুশফিক বরাত

নারীর আদিম স্পর্শের ছোঁয়া পেয়েছো কী?
পেয়েছো সকালের ঘাসে শিশিরের সৌন্দর্য।

বনলতার স্পর্শ পেতে পাড়ি দিয়েছিলাম
সেই দূরে নাটোরে
শূকরের গন্ধ আর কুকুরের আর্তনাদ শুনিনি
বাড়ির পাশ থেকে ভেসে আসছিল মরা
মাছির বীভৎস গন্ধ।
মানুষ আর মানুষ রইল না।

আদিমতার ছোঁয়া না পেয়ে হলো গণ্ডার
ছোঁয়া না পেয়ে হলো পাণ্ডা।

প্রত‍্যন্ত গ্রামের সঙ্গ পেতে পাড়ি দিয়েছি
দশ মাইল
হেঁটে হেঁটে অবশেষে সবুজ মাঠ
ধূ-ধূ বালুতে হেঁটেছি পথ ছুঁয়ে;
মায়ের ছোট্ট কোলে শিশু যেমন
বাবার বাহুতে শিশু যেমন-
স্ত্রীর কোমল বাহুতে প্রিয় স্বামী
প্রতিরাত কাতরতায় এই আমি
রাখিনি লোকলজ্জার ভয়।

বিপ্লবের আহ্বান প্রতিদিন আরো স্পর্ধিত
বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষে প্রযুক্তিতে হাত
শিহরণ জাগায় না।

স্পন্দনহীন হৃদপিন্ডটা খুঁজে চলেছে শরীর
একটি সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে কেমন
লাগবে বলো তো নিদ্রিতা!!
একটানা পুরো তিনটে মিনিট।
ধোঁয়াহীন জীবন আমার ছন্নছাড়া-গতিহারা
ঠোঁট বেয়ে ধরে বাতাসে।

তোমার অনুভবের শক্তি আমাকে জাগ্রত করে।

সমুন্নত আকাশ খুঁজে চলেছে নতুন সৌরমন্ডল
জঙ্গলের হরিণ চাইছে সঙ্গিনী
হরিণী চোখ পেতে চাইছে লোচনযুগল।
স্পর্শ ছাড়া উশৃঙ্খল-বিশৃঙ্খল জীবন তোমার।

খেলার মাঠে ক্রীড়ারত পুরুষ
পেয়েছে একটি ক্রীড়াযন্ত্র
স্পর্শ ছাড়া মানুষ বুঝি আর মানুষ থাকে না।
হয়ে যায় বিপন্ন পশু- হিংস্রতায় মধ‍্যযুগীয়
তারপরও দাসতন্ত্র খুঁজিনি আমি কখনো।
স্পর্শ ছাড়া ক্রুশকাষ্ঠে যীশু যেমন
স্পর্শ ছাড়া ক্রুশকাষ্ঠে যীশু যেমন।।

Comments

Popular posts from this blog

নিদ্রিতার প্রতি - মুশফিক বরাত

নিদ্রিতাঃ জিরো জিরো সিক্স আবারো - মুশফিক বরাত

ছেলেটির নাম আগুন - মুশফিক বরাত