Posts

ব্যাস এটুকুই - মুশফিক বরাত

দিনাজপুর থেকে সোজা নিউইয়র্ক ভ্রমণে যেতে চাই তারপর পাড়ি দেব মাল্টিভার্স ও ইউনিভার্স নিদ্রিতা ও বরাতের ভালোবাসার এক সমুদ্র মূল্য দেব আকাশ হতে মাটিতে ঝরে পড়তে বৃষ্টির যতটুকু ব্যাপ্তি  ততটুকু আমাদের পথচলা। তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদের দুর্ঘটনা  এখনো ভাবায় এখনো কাঁদায়। মুঘল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের সংমিলনে গড়ে উঠতে পারে বৃহত্তর মানববসতি। তুমি আর আমি সময়ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারি এক ইউনিভার্স থেকে আরেক ইউনিভার্সে তাতে একরত্তিও সময় লাগবে না। ইংল্যান্ডের রাণী ঘুম থেকে জেগে উঠবে আমি তোমাকে ভালোবাসি- পংক্তিটুকু  পৃথিবীর সব ভাষায় ব'লে দিতে চাই। কার্ল মার্কস ও কমরেড লেনিনসমগ্র আবৃত্তি করব প্রতিদিন মিছিলে। 'পুঁজি' গ্রন্থটি ছাপিয়ে ফেলব পুনরায় সব ভাষায়। পাতিনেতাদের সমস্ত নির্দেশ এক নিমেষেই  রপ্ত ক'রে নিতাম। মনে হয় যেন ভারতের মন্ত্রীসভার বারোটি মন্ত্রণালয় মুহূর্তেই গিলে খেতে পারি। নিদ্রিতা আমি জেনেছিলাম  তার চেয়ে ঢের বেশি শুধু তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম           ‌         ব্যাস এটুকুই!

আঞ্চলিক চেয়ার - কমরেড মুশফিক বরাত

সেই কবে থেকে  বসে আছি ঐ চেয়ারে। আমার জন্য আঞ্চলিক  তোমাদের জন্য কেন্দ্রীয়। আমি দিনমান ভাবছিলাম  ঠিক পাশের বিউটি চেয়ারটির কথা নয় তোমাদের যাতে সুবিধে হয়! এই সিংহাসন আমি কখনোই ছাড়বো না ছাড়তে রাজি নই কোনোমতেই। এ আসন পাকাপোক্ত করেই বিদায় নেব। এ পৃথিবী হারিয়ে দূরে কোথাও  নদীটির তীর ঘেঁষে  কিংবা সমুদ্র সৈকতে। আমি ভাবছিলাম, চেয়ারম্যানের চেয়ার হলেও ক্ষতি নেই। পাশের বিউটি কেদারা ক্রমাগত দোলায়মান আমারটি ঠিক যেন দৃঢ়তায় স্থির                        যেন ইস্পাতকঠিন। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিও বসে রইল একঠায় হাজার বছর। জেনে রেখো  এ কুর্সি একদিন তোমারও।

একটি স্মরণীয় দুর্ঘটনা - মুশফিক বরাত

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এক তরুণ পায়ে পায়ে দুর্বার সাহসিকতা যেন সূর্যের গতিময়তা। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক  চাপা দিয়ে গেল তাকে পরণে পাঞ্জাবি ও পায়জামা। এ যাবৎকালের স্মরণীয় ও স্বাভাবিক দুর্ঘটনা। কাঁদেনি তবুও আকাশ  কাঁদেনি তবুও বাতাস ঝড় বা বৃষ্টি। কেবল স্মরণীয় হয়ে রইল পত্রিকার পাতা জুড়ে  আর ভাববাদের মিথ্যে দম্ভে!!

অনন্ত বর্ষ - মুশফিক বরাত

অনন্ত বর্ষা ও অনন্ত বর্ষ প্রতি মুহূর্তের পরে তোমার আধুনিক  কলিংবেলে বাজতেই থাকে আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডাকতেই থাকে। বন্ধু  তোমার ও আমার প্রতীক্ষায় খোলা শাওয়ারের নিচে  অনন্তকাল দাঁড়িয়ে আছে যে নারী তাকে তুমি চুম্বন করোনি এখনো। শরতের আকাশ দীর্ঘকাল মেঘমুক্ত ছিল তাকিয়ে দেখবার একটুও ফুরসৎ হলোনা তোমার। প্রতি গ্রীষ্মের রোদে পাবলো নেরুদা ও আমি একটি কবিতা নিয়ে বায়না ধরেছিলাম তোমার কাজল চোখ নজর দেয়নি আমাদের চশমায় এক বছর কেটে গিয়েছিল এমনি! একটি নিরুদ্দেশ পত্র লিখেছিল নিদ্রিতা না জবাবের অপেক্ষায় নয়- জবাব লেখা ছিল পূর্বের বসন্তে  আমাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে অনন্ত বর্ষায় গা ভাসাতে  অনন্ত বর্ষ জড়িয়ে ধরতে।

চল্লিশ বছর - কমরেড মুশফিক বরাত

চল্লিশ বছর অতিবাহিত হলো প্রতিটা মুহূর্ত  শেষ মুহূর্তের প্রতীক্ষায় এর শেষ কোথায়? প্রতি মুহূর্তের পরে আসে এক ট্রিলিয়ন বছর নারী ও উপহারবঞ্চিত এ জীবন দামী মলাটে বন্দী। এর শেষ কোথায়? ছোট্ট কুঁড়েঘরে প্রযুক্তিছাড়া দিশেহারা  এক প্রেমিকার গল্প ফুরোয় না। লাল পতাকা যখন মোবাইলে বন্দী তখন এক রাত তুমুল বৃষ্টিপাত চাই। গুগলে চর্চিত চার্চে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হোক। এর শেষ কোথায়? তিনশত টাকার জীবন  সুযোগ খুঁজছিল খুব চা ও বিস্কুটের আর লাল জুতো ও রেশমী পোশাকের এ গল্পের শেষ কোথায়? এটাকে তুমি গল্প বলবে নাকি ভৎসনা। বড় হতে চাওয়ার ফন্দি-ফিকির আমার আর ভালো লাগছে না                     ভালো লাগে না।

ডার্ক - মুশফিক বরাত

নিদ্রিতা ডার্ক ম্যাটার ও আমি ডার্ক এনার্জি। এই আধো-অন্ধকারে আমাদের দেহ দুটি মিলে গেল। আমার এনার্জি মহাবিশ্বের পঁচানব্বুই ভাগ ছড়ানো তোমার নগ্ন দেহের পঁচানব্বুই শতাংশ  আমি নিমেষেই এলোমেলো করে দিতে পারি!! তাতে তোমার প্রাক্তন প্রেমিকের কোনো যায়-আসে না আমি থোড়াই পাত্তা দেই তাকে। এসো মহাবিশ্বের মতো যাচ্ছেতাই ভালোবাসা হোক আমাদের বাইরের বাকি অংশ চুম্বনে ও জড়িয়ে  ছিন্নভিন্ন করে দিই।

আম, তরমুজ ও রইস - মুশফিক বরাত

একটি আমের লোভ সামলাতে পারেনি রইস জীবনে একটা তরমুজের দেখা পেল না। তার বাচ্চার হাতে একটা খেলনা শোভা পায় না। অনেক জমির মালিক ছিল দম্ভ কাটেনি কোনোদিন। সেদিন আপেল কিনতে গিয়ে খুব তেষ্টা পেয়েছিল  আজকাল গরমে ঠান্ডা পানিও বিনামূল্যে পাওয়া যায় না কমলার বাজারে বেগতিক দশা। সারাদিনের ক্রুদ্ধ ও বিদ্ধ রইস অবশেষে মুক্তি পেয়েছিল এই ভেবে যে, বাচ্চার জন্য বাহারী দুটো খেলনা ক্রয় করতে পারবে!